করোনার মোকাবিলায় শক্ত অবস্থানে সরকার। শাটডাউনের মতো কঠোর পথ বেছে নিয়েছে তারা। কড়াকড়িতে সড়ক, দোকানে মানুষের সমাগম কমাতে পারলেও, ভিড় ঠেকানো যাচ্ছে না কাঁচাবাজারগুলোতে।
এই পরিস্থিতে ভ্রাম্যমাণ গাড়ির মাধ্যমে বাড়ি বাড়ি গিয়ে কাঁচাবাজারের মালামাল বিক্রির পরিকল্পনা নিয়েছেন নীলফামারীর জেলা প্রশাসক।
করোনা মোকাবিলায় চলমান শাটডাউন নিয়ে শনিবার দুপুরে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে এক মতবিনিময় সভায় জেলা প্রশাসক হাফিজুর রহমান চৌধুরী এই পরিকল্পনার কথা জানান।
তিনি বলেন, ‘আগে চাই নিরাপদ থাকতে, তারপর অন্যকিছু। সবাইকে নিয়ে শাটডাউন কার্যকর করতে হবে। সরকার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা বাস্তবায়নে আমরা বদ্ধ পরিকর।’
জেলা প্রশাসক আরও বলেন, ‘নীলফামারীতে সবার সহযোগীতায় শাটডাউন সফল হচ্ছে। মানুষ শাটডাউন মানছে। যেসব দুর্বলতা ধরা পরছে সেগুলা সমাধানে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।’
সেনাবাহিনীর ১৯ মিডিয়াম রেজিমেন্ট আর্টিলারির অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. আরিফ হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আজাহারুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মির্জা মুরাদ হাসান বেগ, জেলা পরিষদ সচিব জয়নুল আবেদীন বক্তব্য রাখেন।
এ সময় শাটডাউন নিয়ে পর্যবেক্ষণ এবং প্রস্তবনা তুলে ধরেন সাংবাদিক তাহমিন হক ববি, মীর মাহমুদুল হাসান আস্তাক, হাসান রাব্বী, আতিয়ার রহমান, নূর আলম ও আসাদুজ্জামান টিপু।
বক্তব্যে লে. কর্নেল আরিফ হোসেন বলেন, ‘কঠোর বিধি নিষেধের মধ্যে কাঁচা বাজারে ভিড় বেশি পরিলক্ষিত হচ্ছে। এতে লোকজন বাড়ির বাইরে আসেন এবং ভিড় করেন। আমরা চিন্তা করছি ভ্রাম্যমাণ উপায়ে সবজি বিক্রয় করা গেলে এই ভিড় এড়ানো সম্ভব।’
তিনি বলেন, ‘শাটডাউনের মেয়াদ বাড়ানো হলে, গতবারের মত এবারও গরুর হাট স্বাস্থ্য বিধি মেনে একমুখীকরণ করে পরিচালনা করা যেতে পারে। সেই সঙ্গে অনলাইনে গরু ক্রয়-বিক্রয়ে উৎসাহ সৃষ্টি করা যেতে পারে।’
সভায় বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে ইউনিয়ন পর্যায়ে ব্যাপক প্রচার চালানো, খাদ্য সংকটে দূর করতে উপযুক্ত পরিবার চিহ্নিত করা, হাট বন্ধ রাখা এবং রিকশা ছাড়া সব ধরনের পরিবহন বন্ধের সিদ্ধান্ত হয়।